Wellcome to National Portal
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১০ মার্চ ২০১৬

পাহাড়ী দরিদ্র জনগোষ্টির দারিদ্র বিমোচনে প্রাণিসম্পদ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে, মোহাম্মদ ছায়েদুল হক, মন্ত্রী, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়


প্রকাশন তারিখ : 2016-02-12

‘‘পাহাড়ী দরিদ্র জনগোষ্টির দারিদ্র বিমোচনে প্রাণিসম্পদ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে’’

- মোহাম্মদ ছায়েদুল হক এমপি, মন্ত্রী, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়

 

 

পাহাড়ী দরিদ্র জনগোষ্টির দারিদ্র বিমোচনে প্রাণিসম্পদ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। আজ  ১২ ফেব্রুয়ারী ২০১৬ বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট এর আঞ্চলিক কেন্দ্র, নাইক্ষ্যংছড়ি, বান্দারবান এর আধুনিক প্রাণি পুষ্টি এবং প্রাণিরোগ নির্ণয় গবেষণাগার এর শুভ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে মোহাম্মদ ছায়েদুল হক, মন্ত্রী, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় এ কথা বলেন। তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, গবেষণার পাশাপাশি পাহাড়ী জনগোষ্টির প্রাণিসম্পদ অর্থাৎ গরু, ছাগল, হিলিমুরগি লালন-পালন করে তাদের আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টির পাশাপাশি অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও দারিদ্র্য বিমোচন করতে পারবে। পাহাড়ী জনগোষ্ঠীর দীর্ঘিদিনের চাওয়া পাওয়াকে পূরণ করার জন্য এই সরকার আন্তরীক ভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

    বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. তালুকদার নূরুন্নাহার এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব  মো: মাকসুদুল হাসান খান, সচিব, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় এবং বাবু অজয় কুমার রায়, মহাপরিচালক, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর।

    অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির ভাষণে জনাব মোঃ মাকসুদুল হাসান খান, সচিব, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় বলেন গবেষণার পাশাপাশি এই অঞ্চলের মানুষের প্রাণিসম্পদ উন্নয়নের ক্ষেত্রে আঞ্চলিক কেন্দ্রটি বিশেষ সহায়তা প্রদান করবে। এ অঞ্চলের প্রাণিসম্পদের উন্নয়নের জন্য মন্ত্রণালয় থেকে সব ধরনের প্রকল্প সহায়তা দিয়ে আসছে। আগামীতেও এ ধারা অব্যাহত থাকবে।

    বিশেষ অতিথির ভাষণে বাবু অজয় কুমার রায় বলেন, সমতল ভূমির মানুষের চেয়ে পাহাড়ী জনগোষ্ঠি অনেক দিকে থেকে অবহেলিত। সেই দিক বিবেচনায় প্রাণিসম্পদ তাদের জীবিকা উন্নয়নে ও পুষ্ঠি চাহিদাপূরণে ভূমিকা রাখবে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট এর আঞ্চলিক কেন্দ্রটি পাহাড়ী জনগোষ্টির দীর্ঘ দিনের চাওয়া ও পাওয়া পূরণে বিশেষ ভূমিকা রাখবে।

সভাপতির ভাষণে ড. তালুকদার নূরুন্নাহার বলেন, গবেষণা কাজে আমরা স্বচছতা ও জবাবদিহিতায় বিশ্বাসী। গবেষণার ফলাফল আঞ্চলিক কেন্দ্রগুলিতে পরীক্ষা করা হয়। এই অঞ্চলে দীর্ঘদিন যাবত ফার্মিক সিস্টেমের মাধ্যমে গবেষণার পাশাপাশি বিলুপ্ত প্রায় প্রাণিসম্পদ সংরক্ষণ করা হচ্ছে। যা থেকে আগামীতে একটি উন্নত জাত সৃষ্টির লক্ষ্যে গবেষণা কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে।

সভার শুরুতে স্বাগত বক্তব্য দেন ড. মোঃ এরশাদুজ্জামান, প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও প্রকল্প পরিচালক সমাজ ভিত্তিক ও বাণিজ্যিক খামারে দেশী ভেড়ার উন্নয়ন ও সংরক্ষণ প্রকল্প ও শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু সাফায়েত মুহাম্মদ শাহেদুল ইসলাম।

 

 

অনুষ্ঠানে ৩১ বিজিবি অধিনায়ক ল্যা: কর্ণেল হাসান মোরশেদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অনির্বান চাকমা, নাইক্ষংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু সাফায়েত মুহাম্মদ শাহেদুল ইসলামসহ প্রায় তিন শতাধিক খামারি ও স্থানীয় প্রশাসনের ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান শেষে প্রধান অতিথি কর্তৃক খামারিদের মাঝে উন্নতজাতের ভেড়া বিতরণ করা হয়।