দেশের প্রাণিজ আমিষের চাহিদা পূরণ করার লক্ষ্যে চ্যালেঞ্জ নিয়ে গবেষকদের কাজ করতে হবে, ০২ নভেম্বর, ২০১৬ খ্রিঃ তারিখ বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএলআরআই) কর্তৃক আয়োজিত ৩ দিন ব্যাপী ‘‘বার্ষিক রিসার্চ রিভিউ কর্মশালা-২০১৬’’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে মাননীয় সংসদ সদস্য, ডাঃ মোঃ এনামুর রহামন এ কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার ২০১৬-১৭ অর্থবছরের বাজেটে প্রাণিসম্পদ এর খাদ্য আমদানিসহ যন্ত্রপাতির ক্ষেত্রে কর রেয়াতের ব্যবস্থা করেছেন। প্রাণিসম্পদ উন্নয়নের জন্য আমাদের সামনে যে সমস্ত চ্যালেঞ্জ বিদ্যমান, তম্মধ্যে পরিবেশ সংরক্ষণ, জলবাযূ পরিবর্তন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, অজানা রোগের আকস্মিক প্রাদুর্ভাব, প্রাণিজাত পণ্য এবং খাদ্যের গুণগতমান নিয়ন্ত্রণ বিশেষ ভাবে উল্লেখযোগ্য। এ সকল চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলা করার জন্য আমাদের গবেষণা পরিকল্পনাকে আরো সুদুর প্রসারি এবং যুগোপোযুগি করতে হবে।
বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক, ড. তালুকদার নূরুন্নাহার এর সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অধিবেশনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব, জনাব মোঃ মাকসুদুল হাসান খান এবং সম্মানীয় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব অজয় কুমার রায়, মহাপরিচালক প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর।
বিশেষ অতিথির ভাষনে, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব, জনাব মোঃ মাকসুদুল হাসান খান বলেন, দেশের একমাত্র গবেষণা ইনস্টিটিউট হিসেবে এ প্রতিষ্ঠানের উপর প্রচন্ড চাপ রয়েছে, গবেষকরা নিরলসভাবে নানা প্রতিকুলতার মধ্যেও গবেষণা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। বর্তমান সরকারের ভিষন ২০২১ সালের মধ্যে দেশের দুধ, ডিম, মাংসের চাহিদা পূরণ করার জন্য যথাযথ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা হাতে নেয়া হয়েছে। এ ক্ষেত্রে অত্র ইনস্টিটিউট একটি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে বলে আশা করি। গবেষণা কাজে মন্ত্রণালয় থেকে যাবতীয় সহযোগিতা করতে আমরা প্রস্ত্তত।
সম্মানিত অতিথির ভাষনে, জনাব অজয় কুমার রায়, মহাপরিচালক প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর বলেন, বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে প্রযুক্তি উদ্ভাবনের জন্য গবেষণা কর্মসূচি হাতে নিতে হবে। ইতোমধ্যে বিএলআরআই কর্তৃক উদ্ভাবিত বেশ কিছু প্রযুক্তি আমাদের কাছে হস্তান্তর করেছে যা আমরা মাঠ পর্যায়ে সম্প্রসারণ করছি।
সভাপতির ভাষণে বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক, ড. তালুকদার নূরুন্নাহার বলেন, প্রাণিসম্পদের উপর এ দেশের ২০ শতাংশ লোক সরাসরিভাবে এবং ৫০ শতাংশ লোক আংশিক ভাবে নির্ভরশীল এবং এশিয়ার প্রায় ৩০০ মিলিয়ন মানুষ জীবিকার জন্য সম্পূর্ণভাবে প্রাণিসম্পদের উপর নির্ভরশীল। জনবলের স্বল্পতার মধ্যেও নির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি। ইনস্টিটিউট কর্তৃক উদ্ভাবিত প্রযুক্তি প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের নিকট হস্তান্তর করেছি যা দেশের প্রাণিসম্পদ তথা প্রাণিজ আমিষের চাহিদা পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন ইনস্টিটিউটের অতিরিক্ত পরিচালক ড. মোঃ আজহারুল ইসলাম তালুকদার।
তিন’দিন ব্যাপী কর্মশালায় পাঁচটি কারিগরি অধিবেশনে মোট ৫৪টি গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন করা হয়। কর্মশালায় বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রায় ২৫০ জন প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন।