Wellcome to National Portal
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

মহিষ আমাদের সম্পদ: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা


প্রকাশন তারিখ : 2025-02-16

 

“মহিষ আমাদের সম্পদ। মহিষ পালনকারীরা আমাদের সম্পদ। মহিষের মাংসে কোলেস্টেরল কম, তাই মহিষের মাংসকে জনপ্রিয় করতে হবে। দেশের নানা স্থানে মহিষের দুধ থেকে তৈরি দইয়ের নানা বৈচিত্র্য দেখা যায়। মহিষের দইকে জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি প্রদানের জন্য কাজ করতে হবে। পাশাপাশি মহিষ পালনকারী খামারিদের সকল প্রকার সহাযোগিতা প্রদান করতে হবে। মাঠ পর্যায় থেকে তথ্য সংগ্রহ করতে হবে, সংগৃহীত তথ্য নিয়ে গবেষণা করতে হবে।”

“মহিষ গবেষণা ও উন্নয়ন (প্রথম সংশোধিত)” শীর্ষক উন্নয়ন প্রকল্পের অগ্রগতি পর্যালোচনা কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা ফরিদা আখতার এ কথা বলেন।

বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএলআরআই) কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন “মহিষ গবেষণা ও উন্নয়ন (প্রথম সংশোধিত)” শীর্ষক উন্নয়ন প্রকল্পের অগ্রগতি পর্যালোচনা কর্মশালা আজ ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি) এর অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়। প্রকল্পটির গবেষণা ও উন্নয়ন কার্যক্রমসমূহের বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনার লক্ষ্যে কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়।

উপদেষ্টা মহোদয় এসময় আরও বলেন, ক্লাইমেট চেঞ্জ এখন বাস্তব। তাই ক্লাইমেট চেঞ্জের সাথে খাই খাইয়ে নিতে পারে এমন প্রাণী হিসেবে মহিষকে অনেক গুরুত্বের সাথে দেখতে হবে। মহিষ বৈষম্যের শিকার হওয়া একটি প্রাণী। তাই মহিষ পালনকে জনপ্রিয় করার লক্ষ্যে কমিউনিটি পর্যায়ে কাজ করতে হবে। অভিজ্ঞ মহিষ খামারিরা মহিষের হিটে আসা শনাক্ত করতে পারেন, মহিষ সংক্রান্ত নানাবিধ জ্ঞান ধারন করেন। তাদের জ্ঞানকে বিজ্ঞানের ভাষায় প্রকাশ করতে হবে। উন্নয়ন প্রকল্প শেষে গবেষণা কার্যক্রমগুলোকে রাজস্ব খাতে স্থানান্তর করতে হবে। লক্ষ্য রাখতে হবে যেনো কোন গ্যাপ না থাকে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, আমি অতিথি হয়ে নই, বরং সাথে থাকতে চাই। সাথে থাকার সুযোগ হতে বঞ্চিত হতে চাই না। পাশাপাশি তিনি বিএলআরআই এর নানাবিধ সংকট নিরসনে মন্ত্রণালয়ের সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাসও ব্যক্ত করেন।

এছাড়াও, উক্ত কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ এর উপাচার্য প্রফেসর ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া, বিএআরসি এর নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. নাজমুন নাহার করিম এবং প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. আবু সুফিয়ান। উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. শাকিলা ফারুক।

সকালে প্রকল্পের গবেষণা অর্জনের উপরে পোস্টার প্রদর্শনের মাধ্যমে দিনব্যাপী কর্মশালার আয়োজন শুরু হয়। এরপর দুপুরে বেলা ০২.০০ ঘটিকায় পবিত্র ধর্মগ্রন্থ হতে পাঠের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি শুরু্ হয়। শুরুতেই আমন্ত্রিত অতিথিদের উদ্দেশ্যে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ইনস্টিটিউটের অতিরিক্ত পরিচালক ড. এ বি এম মুস্তানুর রহমান। এরপর মহিষ গবেষণা ও উন্নয়ন প্রকল্পের লক্ষ্য, উদ্দেশ্য, অগ্রগতি ও অর্জন তুলে ধরেন উক্ত প্রকল্পটির প্রকল্প পরিচালক ও বিএলআরআই এর প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. গৌতম কুমার দেব। এসময় তিনি প্রকল্পের আওতায় বাস্তবায়নাধীন বিভিন্ন গবেষণা কার্যক্রমের অগ্রগতি ও অর্জনসমূহও তুলে ধরেন।

মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনের পরে অনুষ্ঠিত হয় বিশেষজ্ঞ আলোচনা। এসময় আলোচনা করেন বিএলআরআই এর সাবেক মহাপরিচালক ড. তালুকদার নূরুন্নাহার এবং বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ এর অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ড. মো. ওমর ফারুক। বিশেষজ্ঞ আলোচনার পরে অনুষ্ঠিত হয় কারিগরি সেশন ও উন্মুক্ত আলোচনা। উন্মুক্ত আলোচনা অংশ পরিচালনা করেন বিএলআরআই এর মহাপরিচালক ড. শাকিলা ফারুক। এসময় বক্তব্য রাখেন বিএরআরআই এর সাবেক মহাপরিচালকগণ, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আগত অধ্যাপক ও শিক্ষকগণ এবং বিভিন্ন সংগঠন থেকে আগত প্রতিনিধিবৃন্দ। এরপর আমন্ত্রিত অতিথিরা একে একে তাদের বক্তব্য প্রদান করেন।

অনুষ্ঠানের সভাপতি ও বিএলআরআই এর মহাপরিচালক ড. শাকিলা ফারুক তার সমাপনী বক্তব্যের মধ্য দিয়ে কর্মশালাটি সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়। সমাপনী বক্তব্যে অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, প্রকল্পের  আওতায় বিভিন্ন ডিসিপ্লিনে কার্যক্রম বাস্তবায়িত হচ্ছে। সেগুলো যেনো ধরে রাখা যায় সে বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের সদয় দৃষ্টি কামনা করি।