বিএলআরআই এর দুইদিন ব্যাপী কর্মশালার সমাপ্তি
সাভার (ঢাকা) ১০ অক্টোবর, ২০১৮
১৬ কোটি মানুষের প্রাণীজ আমিষের চাহিদা পূরণে প্রাণিজ আমিষের উৎপাদন বাড়াতে হবে। পোল্ট্রি ও প্রাণিসম্পদের বর্তমান সমস্যা নিরসনে এ খাতে আরো গবেষণা কার্যক্রম গ্রহণ করা প্রয়োজন। গবেষণার মাধ্যমে উদ্ভাবনগুলো গ্রাম বাংলার মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য ব্যবহার করতে হবে। বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএলআরআই) কর্তৃক আয়োজিত দুইদিন ব্যাপী ‘‘বার্ষিক রিসার্চ রিভিউ ওয়ার্কশপ-২০১৮ এর সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে জনাব মোঃ রইছউল আলম মন্ডল, সচিব, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় এ কথা বলেন।
প্রধান অতিথি আরো বলেন দুইদিনের এই কর্মশালার আলোকে যে, সুপারিশমালা প্রণয়ন করা হলো সেগুলি বাস্তবায়ন করার জন্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সব ধরণের প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদান করা হবে।
বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. নাথু রাম সরকার এর সভাপতিত্বে দুইদিন ব্যাপী কর্মশালার সমাপনী অধিবেশনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডাঃ হীরেশ রঞ্জন ভৌমিক, মহাপরিচালক, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ডাঃ হীরেশ রঞ্জন ভৌমিক, বলেন বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে প্রাণিজ আমিষের চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে গবেষণার কোন বিকল্প নেই।
সভাপতির ভাষণে ড. নাথু রাম সরকার বলেন, SDG ও সরকারের ভিশণ-২০২১কে সামনে রেখে আমরা গবেষণা পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি। বিএলআরআই স্বল্প সংখ্যক বিজ্ঞানী নিয়ে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। দুইদিন ব্যাপী কর্মশালায় আমরা ৬২টি গবেষণা প্রবন্ধের মধ্যে ৩৫টি উপস্থাপন করা হয়েছে এবং ২৭টি পোস্টারের মাধ্যমে প্রদর্শিত হয়েছে। এই কর্মশালায় দেশের পোল্ট্রি ও প্রাণিসম্পদ উন্নয়নে অংশ গ্রহণকারিদের পরামর্শে গবেষণা কার্যক্রম আরো ফলপ্রসু হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন ।
দুইদিন ব্যাপী কর্মশালায় উপস্থাপিত গবেষণা প্রবন্ধের উপর সুপারিশালা উপস্থাপন করেন ড. মোঃ গিয়াসউদ্দিন, প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকতা, বিএলআরআই, সাভার, ঢাকা।
কর্মশালায় উপস্থাপিত প্রবন্ধ থেকে ৫ জন ও পোস্টার উপস্থাপনার জন্য ৩ জন বিজ্ঞানীকে বেস্ট পেজেন্টার সম্মাননা দেয়া হয়।